স্কুলের ইতিহাস

image-not-found

ইতিহাস
ঠাকুরগাঁও জেলার অর্ন্তগত রানীশংকৈল উপজেলা থেকে উত্তরে ৯কিলোমিটর দুরে নেকমরদ বাজার। নেকমরদ বাজার থেকে ৭ কিলোমিটার পশ্চিমে ৬নং কাশিপুর ইউনিয়নের ৬নং ওয়ার্ডে কাদিহাট গ্রামে বিদ্যালয়টির অবস্থান। বিদ্যালয়টি প্রতিষ্ঠার প্রাথমিক পর্যায়ে এলাকার কিছু সচেতন ও শিক্ষানুরাগী ব্যক্তিবর্গ তাদের মেয়েদের সুশিক্ষার কথা চিন্তা করে ১৫৯ শতাংশ জমির উপর ১৯৯৩ইং সালে বিদ্যালয়টি যাত্রা শুরু করে । বিদ্যালয়টি কাদিহাট গ্রামে অবস্থিত হওয়ায় নামের প্রথম অংশ কাদিহাট এবং কাশিপুর ও ধর্মগড় ইউনিয়নের মধ্যবর্তী স্থানে স্থাপিত হওয়ায় জনগনের সর্বসম্মতি ক্রমে কাশিপুর থেকে কে, এবং ধর্মগড় থেকে ডি লেখার সিদ্ধান্ত হয়। তাই বিদ্যালয়টিকে কাদিহাট কে,ডি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয় নামে নামকরন করা হয়।
এলাকার মানুষের নিরলস পরিশ্রম ও অর্থিক সহযোগিতায় বাঁশ ও টিন দিয়ে প্রথমে পাঁচ কক্ষ বিশিষ্ট একটি ঘর নির্মান করা হয়। ১৯৯৩ইং সালে জুনিয়র স্কুল হিসেবে স্বীকৃতি পায় এবং ১৯৯৪ইং সালে উচ্চ বিদ্যালয় হিসেবে স্বীকৃতি পায়। বিদ্যালয়ের প্রতিষ্ঠাতা প্রধান শিক্ষক মোঃ রাজেকুল্লাহ এবং প্রতিষ্ঠাতা সহকারী শিক্ষক বৃন্দ ও কমিটির সভাপতি শামসুদ্দিন আহাম্মদ সাহেবের ঐকান্তিক প্রচেষ্টায় ০১/০৭/১৯৯৪ইং তারিখে নিম্ন মাধ্যমিক বিদ্যালয় হিসেবে এমপিও ভুক্ত হয় এবং ১৫/০৫/২০০০ইং তারিখে উচ্চ মাধ্যমিক বিদ্যালয় হিসেবে এমপিও ভুক্ত হয়। বিদ্যালয়টি অত্যন্ত মনোরম পরিবেশে অভিজ্ঞ শিক্ষক মন্ডলী দ্বারা পরিচালিত হয়ে আসছে।বর্তমানে শিক্ষক সংখ্যা-১৪ জন এবং কর্মচারী সংখ্যা-৭জন। বিদ্যালয়ের কোল ঘেসে পূর্বপার্শে একটি সুবিশাল প্রসস্থ আবাদি খাল ও পশ্চিম পার্শে পাঁকা রাস্তা এবং উত্তর ও দক্ষিন পার্শে জনবসতি গড়ে উঠেছে।পাকা রাস্তা হওয়ায় জেলা-উপজেলার সাথে যোগাযোগ ব্যবস্থা অত্যন্ত সহজ।
বিদ্যালয়টিতে বর্তমান অবকাঠামোর মধ্যে রয়েছে একটি ৩তলা ও একটি ২তলা বিশিষ্ট পাকা ভবন এবং ২টি আধাপাঁকা ভবন। ছাত্রীদের জন্য উন্নতমানের ক্লাশরুম, সৌচাগার, ইন্টারনেট সহ কম্পিউটারল্যাব, মাল্টিমিডিয়া ক্লাশরুম,বিজ্ঞানাগার ও লাইব্রেরী ব্যবস্থা রয়েছে।রয়েছে বিদ্যুৎ সহ সুপেয় পানির ব্যবস্থা। শিক্ষকদের জন্য মোটরসাইকেল এবং ছাত্রীদের জন্য সাইকেল গ্যারেজ আছে।ছাত্রীদের জন্য প্রসশ্ত খেলার মাঠ আর মাঠের চার পাশ গাছগাছালিতে ভরা। মাঠসহ বিদ্যালিয়টি সীমানা প্রাচীর দিয়ে ঘেরা। তাই বিদ্যালয়টি একটি ঐতিহ্যবাহী প্রতিষ্ঠান হিসেবে এলাকায় পরিচিতি লাভ করেছে।

প্রধান শিক্ষকের বাণী

image-not-found

শিক্ষা মানুষের মৌলিক অধিকার। এ অধিকার বাস্তবায়নের জন্য একটি আদর্শ শিক্ষা প্রতিষ্ঠান অনস্বীকার্য্। এমন একটি প্রতিষ্ঠানের স্বপ্ন দ্রষ্ট্রা হিসেবে নিরলস পরিশ্রম ও পরামর্শ দিয়েগেছেন এলাকার কিছু সচেতন মানুষ । প্রাথমিক পর্যায়ে তাদের স্বীয় অর্থ, ভুমি ও কায়িকশ্রম এবং গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের শিক্ষাবোর্ড ও মন্ত্রনালয়ের সহযোগিতায় ঠাকুরগাঁও জেলার প্রান্তিক উপজেলা- রানীশংকৈল থেকে ১৭ কিলোমিটার দুরে গড়ে উঠে কাদিহাট কে,ডি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়টি। ”শেখার জন্য এসো, সেবার জন্য বেরিয়ে যাও” এ ব্রতকে কাজে লাগিয়ে এই শিক্ষা প্রতিষ্ঠানটি প্রায় ৩০ বছর ধরে শিক্ষার আলো ছড়িয়ে যাচ্ছে ।অত্র বিদ্যালয়ের শিক্ষক মন্ডলী, বিদ্যালয় ব্যবস্থাপনা পরিষদ, শিক্ষার্থী ও অভিভাবকের ঐকান্তিক সহযোগিতায় প্রতি বছর প্রতিষ্ঠানটি কৃতিত্বের স্বক্ষর রেখে চলেছে।প্রতিষ্ঠালগ্ন থেকে শুরু করে অদ্যাবধি প্রতিষ্ঠানটি অত্র এলাকার মানুষের জন্য একটি আলোকবর্তিকা হিসেবে কাজ করছে। এখান থেকে শত-সহস্র শিক্ষার্থী শিক্ষালাভের মাধ্যমে দেশ-বিদেশের বিভিন্ন বিভাগে সততা, নিষ্ঠা ও গর্বের সহিত কাজ করছে।
বিদ্যালয়টির দক্ষতানির্ভর শিক্ষা অর্জনের অবাধ সুযোগ, তথ্য-প্রযুক্তি ব্যবহারের মাধ্যমে জননেত্রী শেখ হাসিনার স্মার্ট বাংলাদেশ এবং উন্নত রাষ্ট্র গঠনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছে।
অত্র প্রতিষ্ঠানটি পড়ালেখার পাশাপাশি সহপাঠ্যক্রমিক কাজগুলো অত্যন্ত প্রশংসার দাবি রাখে। স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণে এবং এসডিজি-৪ বাস্তবায়নে বিদ্যালয়ের হাতে কলমে কম্পিউটার শিক্ষার ব্যবস্থা এবং প্রশস্ত খেলার মাঠ শিক্ষার্থীদের খেলাধূলার মাধ্যমে মাদকমুক্ত সমাজ গঠন ও সুস্বাস্থ্য বজায় রাখবে বলে আশা করছি। পাঠাভ্যাস কর্মূসুচির মাধ্যমে পাঠ্যবই ছাড়াও আরো অসংখ্য বই পড়ার অবারিত সুযোগ শিক্ষার্থীদের মেধার জগতকে আরো প্রসারিত করবে।
এছাড়াও সরকার ঘোষিত ও প্রতিষ্ঠান কর্তৃক বিভিন্ন দেশমাতৃকা ও সমাজ সচেতনমূলক কর্মসূচি আয়োজনের মাধ্যমে শিক্ষার্থীদের মাঝে যৌতুকপ্রথা, কিশোর অপরাধ, যৌন হয়রানি, ইভটিজিং, মাদকাসক্ত, বাল্যবিবাহ প্রভৃতি অপরাধ থেকে বিরত থাকতে যেমন প্রেষণা যোগায়, তেমনি সমাজের বিভিন্ন উন্নয়নমূলক কর্মকাণ্ড যেমন- সচেতনতা বৃদ্ধি, নারী শিক্ষার প্রসার, শতভাগ শিশুকে স্কুলগামী করা, অসহায় দুস্থ মানুষের পাশে দাঁড়ানো এবং সুস্থ সাংস্কৃতিক চর্চার মাধ্যমে সুস্বার্থের পাশাপাশি মানবিক মানুষ তৈরিতে অগ্রণী ভূমিকা পালন করছে এবং এর ধারাবাহিকতা অব্যাহত থাকবে বলে আশা করছি।

সভাপতির বাণী

image-not-found

শিক্ষা জাতির মেরুদণ্ড। মানুষের আচরণিক ইতিবাচক পরিবর্তনই হলো শিক্ষা। ঠাকুরগাঁও জেলাস্থ প্রান্তিক উপজেলা- রানীশংকৈলের ৬নং কাশিপুর ইউনিয়নের একটি স্বনামধন্য শিক্ষা প্রতিষ্ঠান হলো- ‘কাদিহাট কে,ডি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়’। ১৯৯৩ ইং সালে প্রতিষ্ঠিত হওয়া এই প্রতিষ্ঠানটি অত্যন্ত মনোরম ও নিরিবিলি পরিবেশে পাঠদানের মাধ্যমে গ্রামাঞ্চলের মানুষের মাঝে শিক্ষার আলো ছড়িয়ে যাচ্ছে। দেশ-বিদেশে বিভিন্ন পর্যায়ে কর্মরত রয়েছে এখান থেকে শিক্ষা নেওয়া শত শত শিক্ষার্থী। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সোনার বাংলা গড়ার প্রত্যয় নিয়ে প্রতিষ্ঠিত এই শিক্ষা প্রতিষ্ঠানটি প্রতিবছর কৃতিত্বের স্বাক্ষর রেখে চলেছে। শিক্ষাবান্ধব প্রধানমন্ত্রী দেশরত্ব জননেত্রী শেখ হাসিনার স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণে এই প্রতিষ্ঠানটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে বলে আমি বিশ্বাস করি।

ছাত্র/ছাত্রী তথ্য/রেজাল্ট

ই-বুক

image-not-found

ডাউনলোড

image-not-found

নোটিশ

image-not-found